আফজাল হোসেন, বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: স্বল্প জমিতে পরিকল্পিত চাষ করে সবজির চারা বিক্রি করে সফলতার গল্প গড়েছেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার শালনগর গ্রামের তরুণ কৃষক অনিক মিয়া। মাত্র ৬০ শতাংশ জমিতে চারা উৎপাদন করে তিনি লাখ টাকার বেশি আয় করছেন।
অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকেই তার উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা স্থানীয় ও আশপাশের বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে, যা চলবে আরও প্রায় মাসখানেক। এতে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়েও ভালো অঙ্কের লাভ হচ্ছে বলে জানান এই তরুণ কৃষক।বারহাট্টা,
কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া এবং সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন
বাজারে নিজের উৎপাদিত চারা সরবরাহ করেন অনিক মিয়া। চলতি মৌসুমে টমেটো,
মরিচ, বেগুন, দেশি লাউ ও মিষ্টি লাউয়ের চারা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক
অনিক মিয়া জানান, এই চারা চাষ নিচু জমিতেও করা যায়, তবে জমিতে বেশি পানি
জমে থাকলে চারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই পানি নিষ্কাশনের দিকে বিশেষ
গুরুত্ব দিতে হয়।
অনিক
মিয়ার বাবা শামীম মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই উদ্যোগে যুক্ত
রয়েছেন। পাশাপাশি গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষকও স্বল্প জমিতে চারা উৎপাদনের
মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন, যা এলাকায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অনুপ্রেরণা
দিচ্ছে।
প্রতি সপ্তাহের
শনিবার ও মঙ্গলবার বারহাট্টা বাজারের প্রধান সড়কের পাশে বসে অনিক মিয়াসহ
অন্যান্য কৃষকরা এসব চারা বিক্রি করেন। তবে বাজারে বসতে গিয়ে তাদের
ইজারাদারদের মোটা অংকের খাজনা দিতে হয়, যা অনেক সময় লাভের বড় একটি অংশ
কমিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সচেতন
নাগরিকরা মনে করেন, কৃষকদের কথা বিবেচনা করে যদি বারহাট্টা বাজারে
নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং খাজনা মওকুফ বা কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে
চারা উৎপাদনকারী কৃষকরা আরও বেশি উপকৃত হতেন। এতে একদিকে কৃষকের আয় বাড়বে,
অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকরাও সহজে ও কম দামে মানসম্মত সবজির চারা পেতে
পারবেন।
স্বল্প জমিতে সহজ পদ্ধতিতে সবজির চারা উৎপাদন করে অনিক মিয়া এখন এলাকার তরুণদের জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।





0 Comments